রাকিবুল হাসান আহাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা পাগলা থানা পাইথল ইউনিয়ন দেউলপাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মিয়া হোসেনের সন্তান ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সাইমন্ডকে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, হামিদুল ইসলাম ২০০০ইং সালে মজিদ মাস্টারের কাছে থেকে ০৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণের জন্য, ২০০১ইং সালে বড় ভাইকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ না হতেই, দখলে চলে যায় সিদ্দিক ও মাদক ব্যবসায়ী সাইমন্ড বাহিনীর হাতে। প্রাণভয়ে হামিদুল ইসলাম নিজ বাড়িতে আসতে ভয় পাচ্ছে।

ওদের অত্যাচারের কারণেই পূর্বেই দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় হয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশে থেকে ২০০৭ সালে আবারও কিছু জমি রহমান ডিলারের কাছে থেকে কিনেছেন হামিদুল ইসলাম। মনজু ভেন্ডারের কাছে জমির সম্পাদন কাওলা থাকার পরেও জোরপূর্বক ভাবে সিদ্দিক মেম্বার সারা’র সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণে, মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী সাইমন্ডকে দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে জমি কাওলা করে নিয়ে গেছেন বলে দাবি করেন। এবিষয় নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার দেনদরবার হয়েছিলো বলে জানা যায়। কিন্তু কোনো সুরাহা দিতে পারেনিই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব ঢালী। উল্লেখ্য যে সারা-সিদ্দিকের বিষয়ে গয়েশপুর বাজার সহ আশেপাশের এলাকায় ঘনিষ্ঠতার গুঞ্জন শুনা যায় বলে দাবি করেন ভাই হামিদুল ইসলাম।

আরও বলেন, আমার বোনের স্বামী একজন হকার, যাত্রীবাহী ট্রেনে কাপড় বিক্রি করতেন, আমার বোনের স্বামী পিতৃহীন এবং সে বোন জামাই ইন্ডিয়ান, সে কোন জাতি, জাত ধর্ম নিয়ে আমরা সন্দিহান। হঠাৎ করে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাটের মালিক হলেন কিভাবে প্রশ্ন থেকে যায়। সিদ্দিক মেম্বারের নিয়মিত ফ্ল্যাটে যাতায়াত করেন। এনিয়ে সংসারে ঝামেলা বেধে থাকে। সারা- সিদ্দিকের ছেলে মেয়ে একই স্কুলে লেখাপড়া করেন বলে জানাযায়। এ বিষয় নিয়ে ১০ ভাই বোনের মধ্যে পরিবারের লোকজন মুখ দেখাইতে পারেননা বলে দাবি করেন পরিবারের লোকজন। এবিষয়ে পরিবারের লোকজন বলেন, সিদ্দিক মেম্বারের অত্যাচার নির্যাতনের কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ নিজ বাড়িতে আসতে পারেন না। হামিদুল ইসলামের ক্রয়কৃত জায়গা জমি সিদ্দিক মেম্বারের নেতৃত্বে ইয়াবা ব্যবসায়ী, মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সাইমন্ডকে দিয়ে দখল করিয়ে নিয়েছেন।

গয়েশপুর এলাকায় অন্যের জমি দখল, চাঁদাবাজী সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করিয়ে থাকেন। সন্ত্রাসী সাইমন্ড ইতিমধ্যে এক সংবাদকর্মীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এবিষয়ে সিদ্দিক মেম্বারের বাল্যকালের বন্ধু সারা’র মুঠোফোনে প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে, পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তিনি স্বীকার করেন, সিদ্দিক মেম্বার আমার বাল্যকালের বন্ধু। একসঙ্গে ক্লাস দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক, সে মেম্বার হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সমস্যা বা পরামর্শের জন্য তাঁর কাছে যেতে হয়। আমার সাথে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক নেই। জমি দখলের ব্যাপারে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

ইউপি সদস্য সিদ্দিক বলেন, সারা ক্লাস অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে আমার পরিচিত, আমি মেম্বার হওয়ার সুবাদে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসে। ওর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা বা প্রেমের সম্পর্ক বলতে কিছু নেই। সাইমন্ডকে দিয়ে আমি বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম করিয়ে থাকি। সে আমার ছেলের মতো। এ বিষয়ে পাইথল ইউপি চেয়ারম্যানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায়, বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।